ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রীড়াঙ্গনে নারী প্রশিক্ষক স্বল্পতার কারণ  

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

দেশে বা দেশের বাইরে সব ক্রীড়াঙ্গনে যেকোনো কোচ হবে ছেলে এটিই আমাদের কাছে স্বাভাবিক। ক্রীড়াঙ্গনে কোনো নারী দলের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেলেই সেটি হয়ে যায় খবরের পাতার শীর্ষ সংবাদ। এমন চিত্রটি শুধু দেশেই না দেশের বাইরেও একি। দেখা যায় একটি মেয়ে দলের প্রশিক্ষক হিসেবে একটি ছেলে কোচকেই নিয়োজিত করা হয়।  

গত বছরে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুরুষদের একটি ফুটবল ক্লাবের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন মিরোনা। হাতে গোনা এক দুইজন কোচ ছাড়া এমন চিত্রটি খুবিই দুর্বোধ্য। কিন্তু এমনটি কেন হচ্ছে,এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু বিষয় উঠে আসে।

প্রথমে কোচ হিসেবে একজন নারীকে পুরুষের মত দক্ষ মনে করা হয়না। দক্ষতার যাচায়ে পুরুষদের অধিক কর্মঠ মনে করা হয়। একটি ভ্রান্ত ধারণা সমাজে প্রচলিত যে, শারিরিক শক্তি কম দেখে একজন মহিলা কোচ লম্বা সময় ধরে খেলোয়াড়দের অনুশীলন করাতে পারবে না। তাই দক্ষতার যাচায়ে নারীদের নির্বাচনের দিক থেকে পিছিয়ে রাখা হয়।  

মহিলা কোচ কম থাকার অন্যতম প্রধান কারণ লাইসেন্স পাওয়ার জটিলতা। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ এবং পেশাদার খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষক হতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট লাইসেন্স থাকতে হয় কিন্তু অধিকাংশ সময় প্রশিক্ষক হিসেবে নির্বাচকরা একটি মেয়েকে লাইসেন্স না দিয়ে একটি ছেলেকে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যোগ্য মনে করা হয়।

একজন প্রশিক্ষকের অনেক ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। নির্বাচকরা সহহায় হতাশায় থাকেন কঠিন সময়ে একজন নারী কোচ কতটুকু চ্যালেঞ্জ নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারবে। গতানুগতিক এই বিভ্রান্তিগুলোর জন্য নির্বাচকরা নারীদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিতে ভরসা পান না।

নারীদের প্রশিক্ষনের জন্য আর্থিক প্রণোদনার খুবই অভাব বোর্ডগুলোতে। একজন নারী ফুটবলার বা ক্রিকেটারকে পরবর্তীতে একজন কোচ করে তোলার কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই বোর্ডগুলোতে।

নেতৃত্ব দেয়ার সময় একজন পুরুষের কথা খেলোয়াড়রা যেমন গুরুত্ব দিবে একজন নারী প্রশিক্ষককের কথা খেলোয়াড়দের মাঝে তেমন তাৎপর্য বহন করবে না এটিই মনে করেন নির্বাচকরা। তাই বরাবরই নারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পুরুষদের থেকে অনেক কম।

এইসকল বিষয়গুলোই মূলত মূলে রয়েছে ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের কোচ হিসেবে নিয়োগ না দেয়ার কারণ।  

Attachments area



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভক্তকে সাকিবের চড় মারতে চাওয়ার গুঞ্জন, আসলে ঘটনা কী?

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ক্রিকেটের মহাতারকা সাকিব আল হাসান। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ভক্তও রয়েছে এই অলরাউন্ডারের। আর সেই ভক্তদের অনেকেরই শখ বা ইচ্ছা থাকে প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে ছবি তোলার। যার জন্য অনেকে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন।

তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে চলমান ডিপিএলে। সোমবার (৬ মে) শেখ জামালের জার্সিতে মাঠ মাতাতে নামছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ শুরুর আগে এক ভক্ত দৌঁড়ে সাকিবের কাছে গিয়ে ছবি তুলতে চান। তবে সাকিব তাকে ঘাড় ধরে কিছুটা মারার ভঙ্গি করেন। আর মুহুর্তের মধ্যেই সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে এখন রীতিমতো চলছে সমালোচনা।

কিন্তু আসলে কি ঘটেছিল মাঠে, এবার জানা গেল আসল ঘটনা। মূলত আগের রাতে বৃষ্টির কারণে আজ ম্যাচ শুরু হতে কিছু সময় দেরী হচ্ছিল। এ অবস্থায় মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে প্রাইম ব্যাংক কোচ সালাহ উদ্দিন ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ সোহেল ইসলামের সঙ্গে কথা বলছিলেন সাকিব।

দেখে বোঝা যাচ্ছিল কোচদের কাছ থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করছেন সাকিব। তাদের এই আলোচনার মাঝে হাজির হন এক ভক্ত। এরপর হঠাৎ সেলফি তুলতে যান তিনি। প্রথমে সাকিব মানা করলেও তা শোনেননি সেই ভক্ত।

আর এতেই মেজাজ হারান সাকিব। বিরক্ত হয়ে একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এ ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত তেড়ে গিয়ে সেই ভক্তের মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন সাকিব। একইসঙ্গে মারতে উদ্যত হন। সেই ভক্তকে চড় মারতে গিয়েও অবশ্য থেমে যান তারকা অলরাউন্ডার।

এরই মধ্যে এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই মনে করছেন, মাঠের মধ্যে এভাবে সমর্থক ঢুকে কাউকে বিরক্ত করলে মেজাজ হারানোটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের দায়িত্ব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


সাকিব আল হাসান   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হুমকির মুখে টি-২০ বিশ্বকাপ, জঙ্গি হামলার আশঙ্কা

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের জুনেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বাকি নেই এক মাসও। ইতোমধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে। দলও ঘোষণা করেছে একাধিক দেশ।

তবে এতসব আয়োজনের মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। ‍হুমকির মুখে পড়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। কারণ বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।

আর এই হুমকিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।

এ ধরণের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠে গুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদেরপ্রধান লক্ষ্য।’

চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ্যবাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।


পাকিস্তান   টি-২০ বিশ্বকাপ   আন্তর্জাতিক ক্রিকেট   জঙ্গি হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কিংবদন্তির মৃত্যুতে মেসি-স্কালোনির শোক

প্রকাশ: ১০:২৭ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঘরের মাঠে ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান সিজার লুইস মেনোত্তি। এটি ছিলো আলবিসেলেস্তাদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা। পরের বছর তার হাত ধরেই বড়দের মতো প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনদের কাছে বনে কিংবদন্তি।

সেবার তিনি আর্জেন্টিনা ও বিশ্বকে উপহার দেন আরেক কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ১৯৭৯ যুব বিশ্বকাপে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী নায়ক। যার পেছনে বড় অবদান ছিলেন মেনোত্তির।

তবে অন্য এক কারণে আর্জেন্টাইন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করছেন তিনি। তার কোচিংয়ে বদলে যায় আজেন্টিনার খেলার ধরণ। সহিংসতাপূর্ণ খেলার কুখ্যাতিকে পেছনে ফেলে নানন্দিক ফুটবলে জয় করেন আর্জেন্টাইনদের মন।

কিংবদন্তি কোচের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি তার একাউন্টে লিখেছেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলের অন্যতম গ্রেট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

প্রায় একই রকম শোক বার্তায় স্কালোনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’

আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। সোমবার (৬ মে) আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে এ কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।

খেলোয়াড়ি জীবনে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন লিগ ছাড়াও ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে ফুটবল সম্রাট পেলের সতীর্থ ছিলেন মেনোত্তি।


সিজার লুইস মেন্তি   আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন

প্রকাশ: ০৯:০৬ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো কিংবদন্তি কোচ সিজার লুইস মেনোত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। রোববার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

লিওনেল মেসির জন্মশহর রোজারিওতে ১৯৩৮ সালে জন্ম মেনোত্তির। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত মাত্র ১১ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন এই স্ট্রাইকার। খেলা ছাড়ার পর ৩৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১১টি ক্লাব ও দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন নিজের দেশ আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে। এছাড়াও এক বছর মেক্সিকোর কোচের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান এই মেনোত্তি। আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানোর পরের বছর দেশের অনূর্ধ্ব-২০ দলকেও জিতিয়েছেন যুব বিশ্বকাপ। মেনোত্তির হাত ধরেই আর্জেন্টিনার খেলার ধরন বদলে যায়।

এদিকে মেনোত্তির মৃত্যুর শোক সংবাদ প্রকাশ করে ইনস্টাগ্রামে লিওনেল মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের ফুটবলের অন্যতম গ্রেট উদাহরণ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তার পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা। শান্তিতে ঘুমান।’

আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিও শোক প্রকাশ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলের একজন শিক্ষক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সেই সব স্নেহ সঞ্চারক কথার জন্য ধন্যবাদ, যার মাধ্যমে আপনি আমাদের মনে ছাপ রেখে গেছেন। চিরকাল হৃদয়ে থাকবেন প্রিয়।’


আর্জেন্টিনা   বিশ্বকাপ   ফুটবল   সিজার লুইস মেনোত্তি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

লিটন ফর্মে ফিরবেন কবে?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নামলেই রানের দেখা পেতেন এই ওপেনার। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না লিটন। 

আন্তর্জাতিক খেলায় মাঠে নামলেই যেন ১০ এর গণ্ডিও পেরোতে পারছেন না তিনি। সবমিলিয়ে তার সবশেষ আন্তর্জাতিক ফিফটি এসেছে ১৯ ইনিংস আগে। ফর্মহীনতার কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এরপর টেস্টে ফিরে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তার শুরুটা হয়েছে ১ রান দিয়ে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করেছেন। তবুও যেন স্ট্রাইক রেটে রয়েছেন পিছিয়ে। 

এভাবে লিটনের ধারাবাহিক ফর্মহীনতায় তার পাশাপাশি ধুঁকছে বাংলাদেশও। শুরুতে দ্রুতই তার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে অবস্থা থেকে ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে হয় পরবর্তী টপঅর্ডারদের। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের জন্য বড় ভাবনার কারণ।

চলমান ডিপিএলেও তিন ম্যাচ খেলে একটি ফিফটি পেয়েছেন লিটন, বাকি দুই ম্যাচ মিলে করেছেন ৩৮ রান। লিটনের এমন ফর্মহীনতার পরও একের পর এক ম্যাচ-সিরিজে সুযোগ পেয়েই যাচ্ছেন তিনি। যার জন্য সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গন- সবখানেই। এমনকি লিটনের এই অফফর্মের জন্য তাকে নিয়ে নানা ট্রোল ও হচ্ছে। নেটিজেনরা এরই মধ্যে তার এই অফফর্মের কারণে তাকে দলে দেখতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে অনেক ক্রীড়া বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লিটনের এই অফফর্ম যাবে কবে?

এরই মধ্যে ব্যাট হাতে লিটনের ধারাবাহিক এই ব্যর্থতা কাটাতে কোচদের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, ‘লিটনকে নিয়ে আমরা সবাই জানি, তার মেধা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে ফর্মের বাইরে। তাকে নিয়ে জালাল (ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস) ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে ব্যাটিং কোচ যে আছেন আমাদের, তার সঙ্গেও কথা বলতে বলা হয়েছে। বলেছি তার (লিটনের) ওপর বিশেষ নজর দিয়ে দেখতে যে সমস্যাটা কোথায়।’

সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে আছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ দিয়ে ফেরার কথা রয়েছৈ তাদের। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিবের খেলার কথা, মুস্তাফিজ খেলবে কি না আমি নিশ্চিত না। আমার ধারণা ওকে বিশ্রামে রাখা হবে। কতদিন বিশ্রামে রাখা হবে তা জানিনা। সাকিব তো লিগে সেঞ্চুরি করল এতদিন পরে। ওর রানে ফিরে আসাটা একটা ভালো দিক। আমি যতটুকু শুনেছি ও খেলবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে পাপন বলেন, ‘বোলিংটা প্রথমদিকে ভালোই লাগছিল। পরের দিকে একদম ভালো লাগেনি। ব্যাটিংটা ভালো লাগেনি। ব্যাটিংয়ে এখনও মনে হচ্ছে আমরা স্ট্রাগল করছি। বোলিংয়ে যে অবস্থা ছিল, ৪০-৪১ রানে ৭ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এত রান করতে দেওয়া ওদের, এটা আমাদের পুরোনো অভ্যাস। এটা দেখে মনে হচ্ছে এখনও বের হতে পারিনি।’


বিসিবি   ক্রিকেট   লিটন দাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন